ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম:

এখন কার সময়ে যে কেউ নিজের পাসপোর্ট নিজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন।

ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ এবং কতদিনে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে—এসব বিষয় জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ার পর যদি কোনো ভুল দেখা যায়, তা সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।

পাশাপাশি, একটি ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে শুধুমাত্র একবারই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়।

ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পদ্ধতি:

অনলাইনে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা সম্ভব, এবং জমা দেওয়ার তারিখও অনলাইনে নির্ধারণ করা যাবে।

ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের অনলাইন পোর্টালের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। https://www.epassport.gov.bd/

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনাকে আবেদন করার ধাপগুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

যেমন: নির্দেশিকা, আবেদন ফি, আপনি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করছেন নাকি দেশের বাইরে থেকে, আবেদনটি পাসপোর্ট নবায়ন সংক্রান্ত কি না—এসব বিষয় ভালোভাবে যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।

প্রথম ধাপে আপনাকে এপলাই অনলাইন (Apply Online) বাটনে এ ক্লিক করতে হবে।

তারপর, স্টেপ – ১ আপনাকে আপনার অঞ্চলের ই-পাসপোর্টের প্রাপ্যতা যাচাই করতে হবে।

এরপরে, নিজের এলাকার জেলা এবং থানা সিলেক্ট করে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে, ইমেইল প্রবেশ করতে হবে এবং হিউম্যানিটি চেক করে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

পাসপোর্ট একাউন্ট তৈরি করতে পাসওয়ার্ড, পূর্ণ নাম, এনআইডি বা বার্থ সার্টিফিকেট অনুযায়ী তথ্য, মোবাইল নম্বর আর ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

তৃতীয় ধাপে পাসপোর্টের মেয়াদ ও পৃষ্ঠার সংখ্যা অনুযায়ী ফি পরিশোধ করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড অথবা বিকাশ আবার মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে দিয়েও অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন।

এছাড়া অনুমোদিত পাঁচটি ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপের নম্বর সংগ্রহ করারও সুযোগ রয়েছে। সব কিছু সম্পন্ন হলে ‘Final Submit’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এরপর আপনার তথ্য পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে আপলোড হয়ে যাবে।

পরবর্তী করণীয় :

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য আপনার সুবিধামত এপয়েন্টমেন্ট ডেট নেবেন।

যেইদিন এপয়েন্টমেন্ট ডেট নিবেন সেই নির্ধারিত দিনে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট, বর্তমান ঠিকানার বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা বার্থ সার্টিফিকেট ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ (যদি থাকে )পাসপোর্ট অফিসে যাবেন।

আর পেশা ছাত্র-ছাত্রী হলে অথবা ১৮ বছরের নিচে হলে পাসপোর্ট সাইজের ছবি পিতা -মাতার এন আই ডি ফটোকপি অ্যাটাচ করে দিবেন।

সঙ্গে অবশ্যই কাগজপত্রের মূল কপি নিতে ভুলবেন না।

ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিট দেবে।

এর কিছু দিনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন করবে যদি প্রথমবার পাসপোর্ট করেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশন সব ঠিকঠাক মতো হলে আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়ে যাবে।

পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন করতে হবে। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে।

আবার অনলাইন একাউন্ট লগইন করে স্টেটাস জানতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট কি অবস্থাতে আছে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে (১৫% ভ্যাট সহ):

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট-নিয়মিত ফি : ৪,০২৫ টাকা, জরুরী: ৬,৩২৫ টাকা, অতীব জরুরী- ৮,৬২৫ টাকা

পাসপোর্ট ফি দেখতে এই লিংক এ ক্লিক করে দেখুন। https://www.epassport.gov.bd/instructions/passport-fees

ই-পাসপোর্টের সুবিধা সমূহ:

দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া: ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ হয়ে যায়, কারণ এটি সেলফ-চেকিং সুবিধা দেয়।

ভ্রমণ নিরাপত্তা বৃদ্ধি: ই-পাসপোর্টের ডিজিটাল তথ্য এবং বায়োমেট্রিক ডেটা থাকার কারণে এটি ভ্রমণকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে সহজ এবং নিরাপদ।

লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই: ই-গেটের মাধ্যমে ভিসা চেকিং করার জন্য আর বিমানবন্দরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

বায়োমেট্রিক সুরক্ষা: পাসপোর্টে আঙুলের ছাপ এবং ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি থাকার কারণে এটি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সহজে শনাক্তকরণ: ই-পাসপোর্টে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা দ্রুত চিহ্নিত করা যায়।

ইউনিভার্সাল এক্সেস: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করার সুযোগ এবং সহজতর প্রবেশাধিকার।

মৌলিক কাগজপত্রের নিরাপত্তা: ই-পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহজে তার বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এবং এটি চুরি বা মিসইউজের ঝুঁকি কমায়।

অনলাইনে পাসপোর্ট করব কিভাবে? ই পাসপোর্ট আবেদনের নিয়মাবলি E passport check ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এই সব জানতে আমাদের হেল্প নিতে পারেন।

এছাড়া কোনো অসুবিধা হলে আমাদের অফিসের সহায়তা নিতে পারেন। আমাদের অভিজ্ঞ প্রতিনিধি আপনাকে সহায়তা করবে পাসপোর্ট করতে।

আমাদের অফিসের ঠিকানা: তারাগঞ্জ মধ্য বাজার, বণিক সমিতি বিল্ডিং, নালিতাবাড়ী, শেরপুর।

Contact Number: 01731402300