নালিতাবাড়ী শেরপুর জেলার একটি সুন্দর উপজেলা যেখানে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মেলবন্ধন দেখতে পাওয়া যায়। এর ফলে,এই উপজেলা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য।
মধুটিলা ইকো পার্ক:
পার্কটি মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এই স্থানটি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই ইকো পার্ক প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গ।
এই স্থানে, বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, পাখি এবং প্রাণী দেখা যায়। এটি, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায়, ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত।
এখানে, বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী যেমন হরিণ, বানর এবং বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
এ অঞ্চলে, ছোট একটি কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে, যেখানে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা আছে। পার্কটির আশেপাশে গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে।
পানিহাতা মিশন:
পানিহাতা মিশন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থান। তাই, এটি শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নয়, বাইরের দর্শনার্থীদের জন্যও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মিশনটির সাথে একটি বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। মিশনের চারপাশ সবুজে ঘেরা এবং অত্যন্ত মনোরম পরিবেশ।
ফলে, এখানকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানসিক প্রশান্তি দেয়। এছাড়াও, এই মিশন থেকে নদীর ওপারে ভারতের কিছু অংশ দেখা যায়।
গারো পাহাড়:
নালিতাবাড়ীর একটি প্রধান আকর্ষণ। গারো পাহাড়ের সবুজ প্রকৃতি এবং সৌন্দর্য মুগ্ধকর।
তাই, এখানে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। গারো পাহাড় বাংলাদেশের এক অনন্য প্রাকৃতিক স্থাপনা, যা শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কাছাকাছি এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত।
এটি, দেশের উত্তরাঞ্চলের এই পাহাড়ি অঞ্চল তার মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য, স্থানীয় আদিবাসীদের জীবনধারা এবং বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য প্রসিদ্ধ।
ভারতের মেঘালয় সীমান্তে গারো পাহাড় অবস্থিত। গারো পাহাড়ের বেশিরভাগ অংশ ভারতের মেঘালয়ে, তবে এর কিছু অংশ বাংলাদেশের নেত্রকোনা এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় দেখা যায়।
এই পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, ঝরনা এবং প্রাকৃতিক জলাশয় রয়েছে।
ফলে, এটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্থান।
পর্যটকরা এই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন সময়ে এখানে আসেন।
বিশেষত, শীতকালে এখানকার পরিবেশ আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে।
গভীর অরণ্যের বন হওয়ার জন্যে, গারো পাহাড়ে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী, পাখি এবং গাছপালা পাওয়া যায়।
সেজন্য, এটি জীববৈচিত্র্যের জন্যও বিখ্যাত। গারো পাহাড়ের নামকরণ হয়েছে।
ফলে, এই পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, ঝরনা এবং প্রাকৃতিক জলাশয় রয়েছে। এটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্থান।
ভোগাই নদী:
ভোগাই নদীর উৎস ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা।
সুতরাং, এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন। এই নদীর তীরে সময় কাটানো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
পরবর্তীতে, এটি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী ও অন্যান্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
শেষ পর্যন্ত, এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর সাথে মিলিত হয়। নদীটির তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবিকা মূলত এই নদীর উপর নির্ভরশীল।
ভোগাই নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, যা স্থানীয়দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উৎস।
অতীতে, নৌকাযোগে এই নদী দিয়ে মানুষ ও পণ্য পরিবহন করা হতো। বর্তমানে, নদীর সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, যা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে।
One response
test